কর্ণফুলীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় হালদা নদী বিষয়ক স্টেকহোল্ডারউদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মাসুমা জান্নাতের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ ।
প্রধান বক্তা ছিলেন, হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আলীম।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ' আমাদের প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, হালদা নদী ও সংলগ্ন অন্যান্য নদী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা, হালদা নদীতে রেণু পোনার উৎপাদন বৃদ্ধি করা,রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় ৬টি হ্যাচারী উন্নয়ন করা,নদীর লবণাক্ততা বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা, মৎস্য সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবেএ বাস্তবায়ন করা।'
তিনি আরও বলেন, ' হালদা নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা। হালদা নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণার ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষ থেকে সকল চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, ' শরীরে শিরা-উপশিরা যেমন জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে তেমনি একটি নদী আরেকটি নদীর সাথে সংযুক্ত হয়ে রক্তের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। তাই একটি নদীর জীব-বৈচিত্র্য নষ্ট হলে অন্য নদীতেও তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। '
তিনি নদী নদী দূষণে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, ' সমুদ্র উপকূল থেকে ১৮৫ নটিকাল মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে মাছের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নদী রক্ষায় সকল স্টেকহোল্ডারকে সংযুক্ত করার আশ্বাস দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস অধিদপ্তরের সাথে উপজেলা প্রশাসন একযুগে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস